স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপ নিয়ে জটিলতা যেন কাটছেই না। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের কারণে নানান টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এশিয়া কাপ আয়োজনের সব চেষ্টা।এমনকি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও সমাধানের কোনো পথ খুঁজে পায়নি।
পাকিস্তানে গিয়ে ভারত খেলতে রাজি না হওয়ায় সবশেষ হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাবনা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পিসিবির প্রস্তাব অনুযায়ী, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় পর্বে ভারতের ম্যাচসহ ফাইনাল নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে।
টানাপোড়েনের তালিকায় বাংলাদেশের নামও যুক্ত হয়েছে। কারণ, বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আলোচনায় থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে খেলতে রাজি না বাংলাদেশ। গরমের কারণেই সেখানে গিয়ে খেলতে আপত্তি বিসিবির। তবে এশিয়া কাপ সফল করার স্বার্থে সেখানে খেলতেও আপত্তি নেই টাইগারদের।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের দাবি, বাধ্য হয়ে দুবাই যেতে হলে অস্বস্তিতে থাকবেন তারা।
সোমবার (২৯ মে) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি জানান, এশিয়া কাপ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে যেটা জানবো, তা হচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) থেকে।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান যোগ করেন, যখন আমরা এসিসি থেকে জানতে পারব সিদ্ধান্ত কী, কোথায়, কখন ম্যাচ হবে; সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। যেহেতু আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি; সেটার জন্য তাই আমরা অপেক্ষা করছি।
জালালের ভাষ্য, আমরা এশিয়া কাপ খেলতে আগ্রহী। যখন এসিসি থেকে সিদ্ধান্ত আসবে যে এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে, কোন মডেলে হতে যাচ্ছে, হাইব্রিড অথবা অন্যকিছু যেটা সিদ্ধান্ত হবে; যারা সদস্য আছে, তারা এই সিদ্ধান্ত নিবে। সেই সিদ্ধান্ত যেই মডেলই হোক, সেই টুর্নামেন্টে আমরা খেলতে আগ্রহী।
গরমের কারণে দুবাইতে খেলার বিষয়ে তার সোজাসাপ্টা উত্তর। তার দাবি, এখন যদি এসিসি সিদ্ধান্ত নেয় যে দুবাইতেই হবে। সব সদস্য যদি মেনে হয়, তখন আমাদেরও খেলতে হবে সেখানে।
নিজের মতামতে কিছুটা ভিন্নতাও রাখলেন বিসিবির এই কর্তা। তার ভাষ্যমতে, কিছুটা (অস্বস্তি) তো থাকবে নিশ্চয়ই। এতো গরমের মধ্যে ওয়ানডে ম্যাচ খেলা অনেক কঠিন। গতবার আমরা টি-টোয়েন্টিতে দেখেছি, রাত ৯টার আগে আমরা অনুশীলন করতে পারতাম না প্রচণ্ড গরমের জন্য।
জালালের মতে, অস্বস্তি তো থাকবেই। বিশেষ করে যখন আমরা বিশ্বকাপের দিকে ফোকাসড। সেটার জন্য প্রস্তুতি, সতর্কতা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি, সেজন্যই আমরা চাচ্ছিলাম না দুবাইতে খেলতে। আমাদের কথা হচ্ছে, আমাদের এসিসির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর এবারের এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ভারতে অনুষ্ঠেয় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ।