রংপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ
আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) শনিবার বেলা ১১টায় রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তারুণ্যের রোডমার্চের উদ্বোধনী পথসভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। ‘জাগছে তারুণ্য জাগছে দেশ, টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে তারুণ্যের রোডমার্চ আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে তারুণ্যের এই রোডমার্চ শুরু হলো। যেদিন আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে পারব সেই দিন রোডমার্চ শেষ হবে। আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার, আপনি (শেখ হাসিনা) এখনই পদত্যাগ করেন। আপনাকে এই দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সংসদ বিলুপ্ত করেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। কারণ আপনার সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে অনেক কিন্তু মানুষ বিদ্যুৎ পায় না। লোডশেডিং হতেই আছে। কৃষিকাজে সেচ দিতে পারে না। আজকে ব্যাংক থেকে দুর্নীতি করে, চুরি করে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। আজকে অর্থনীতি ক্রমেই নিচের দিকে নামছে, ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। পত্রপত্রিকা খুললেই দেখবেন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা (সরকার) চুরি করছে, সেই কারণে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না। এই সরকার অর্থনীতিকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, নিজেরা দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করেছে।
রংপুর থেকে তারুণ্যের রোডমার্চ শুরু করা প্রসঙ্গ মির্জা ফখরুল বলেন, রংপুরের একটা বিরাট ঐতিহ্য আছে। সেই ঐতিহ্য হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার ঐতিহ্য। এই রংপুরে ব্রিটিশ আমলে কৃষকদের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তেভাগা আন্দোলন হয়েছিল। রংপুরকে নিয়েই আপনাদের কৃতী সন্তান সৈয়দ শামসুল হক লিখেছেন নূরলদীনের সারাজীবন। সেই নূরলদীনের বিপ্লব বিদ্রোহ রংপুর থেকেই, সেদিন নূরলদীন ডাক দিয়েছিল ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’। আজকে রংপুর থেকেই আবার এই তরুণরা বাংলাদেশের মানুষকে ডাক দিচ্ছে- এই ভয়াবহ একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদ, লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদল, তাঁতী দল, মহিলা দল, ওলামা দল এবং জাসাসের নেতাকর্মীরা সহ উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দগণ।