ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় আগুনে পুড়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী পোস্ট অফিস ভবন। তবে এ ঘটনায় কোন প্রাণহানি না হলেও আগুনে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন ফায়ার ব্রিগেড কর্মী।
সোমবার (২২ মে) দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিএনএন।
দেশটির ফায়ার প্রোটেকশন ব্যুরোর তথ্যমতে, রবিবার রাত রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিনির্বাপকদের দল প্রায় সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লড়াই করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফায়ার ব্রিগেডের ৮০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে পাশে পাসিগ নদী হওয়ার কারণে খুব একটা অসুবিধায় পরতে হয়নি।
ফায়ার প্রোটেকশন ব্যুরোর পরিচালক নাহুম বি তারোজা সাংবাদিকদের বলেন, “বেজমেন্ট থেকে পাঁচতলা ভবনটি পুরোপুরি আগুনে পুড়ে গেছে। মূলত কাগজপত্র, বইয়ের কারণে আগুন বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হবে।
ফায়ার প্রোটেকশন ব্যুরোর বরাতে ম্যানিলার মেয়র মারিয়া শিলাহ জানান, আগুনের ফলে প্রায় ৫৪ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পোস্টমাস্টার জেনারেল লুইস কার্লোস বলেন, “চিঠি, পার্সেল ও পুরোনো স্ট্যাম্প ভবনে সংরক্ষিত ছিল। সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
তবে পোস্টমাস্টার জেনারেলের চিফ অফ স্টাফ মার্ক লরেন্ট জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রগুলি অন্য শহরে সংরক্ষণ করায় আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছে।
ফিলিপাইনের পোস্ট অফিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ১৯২৬ সালে পোস্ট অফিসটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পোস্ট অফিসটিকে একসময় ম্যানিলার ‘সবচেয়ে বড় ভবন’ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে মার্কিন বাহিনী জাপানি দখলদার বাহিনীর কাছ থেকে রাজধানী ম্যানিলা পুনরুদ্ধার করার পর ১৯৪৬ সালে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। পরে ফিলিপাইন জাতীয় জাদুঘর ২০১৮ সালে ভবনটিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণা করে।