গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের ১৪তম প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। এতে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তার এ সফলতায় বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা অভিনন্দন জানিয়েছে তাকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সরকারপন্থী সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ অধিদপ্তর বুধবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এরদোয়ানকে যে কজন বিশ্বনেতা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এবং ইরাকের কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজে) নেতা নেচিরভান বারজানি।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে থাকায় এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এই নেতারা।
ডেইলি সাবার সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এতে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) নেতা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ বিরোধী প্রার্থী থেকে ৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন এরদোয়ান। আর তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওগান পেয়েছেন ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট।
তবে জানা গেছে, এরদোয়ানের পিপলস অ্যালায়েন্স পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী এরদোয়ান ও কেমাল দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও ছয় দলের সমন্বয়ে গঠিত কেমালের বিরোধী নেশসনস অ্যালায়েন্সও এ দফার ভোটে অংশ নেবে।
১৪ মের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৯৯ শতাংশ। এদিন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের ৬শ’টি আসনের সদস্যদের নির্বাচনে এ ভোট দিয়েছে তুরস্কের নাগরিকরা। প্রথম দফার কোন প্রার্থীই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ৫০ শতাংশ ভোট না পাননি। ফলে দেশটিতে আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ (রান-অফ) অনুষ্ঠিত হবে।