ডেস্ক নিউজ ঃ
পূর্ব ফ্রান্সের উইন্টজেনহেইম শহরের একটি প্রতিবন্ধীকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্রটিতে একদল প্রাপ্তবয়স্ক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছুটি কাটাতে এসেছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, উইন্টজেনহেইমের কাঠের বাসভবনে রাতে আগুন এই ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন সকলেই ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই উপরের তলায় থাকা অনেকেই নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেননি। দেশটিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটির মরসুমের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে উত্তরাঞ্চলীয় শহর রুয়েনের একটি বারে আগুন লেগে ১৪ জন নিহত হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই বিপর্যয়কে ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পূর্ব ফ্রান্সের হাউত রিন প্রিফেকচারের সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টোফ মারোট বলেছেন, নিখোঁজ ব্যক্তি জ্বলন্ত ভবনে ছিলেন এবং পালাতে পারেননি। ফায়ার ব্রিগেড অনুসন্ধান অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ফিলিপ হাউইলার এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ১১টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছি।’
ডেপুটি মেয়র ড্যানিয়েল লেরয় বলেন, এর আগে একটি ড্রোন ব্যবহার করে তিনটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু অন্যদের পরে সরাসরি অনুসন্ধান ও কুকুরের সাহায্যে পাওয়া গেছে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস এএফপিকে জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৬টায় উইন্টজেনহেইমে আগুন লাগার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল।
হাউট-রিন অঞ্চলের প্রিফেকচার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আগুনের তীব্রতা সত্ত্বেও আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ১৭ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্য জনকে শকের জন্য চিকিত্সা প্রদান করা হয়েছে।’
কেন্দ্রে যারা অবস্থান করছিলেন তারা ছিলেন একদল প্রাপ্তবয়স্ক। ছুটি কাটানোর উদ্দেশে তারা নিকটবর্তী শহর ন্যান্সি থেকে এখানে এসেছিলেন। ম্যাক্রোঁ টুইটারে লিখেছেন, ‘উইন্টজেনহেইমে অগ্নিকাণ্ডে একটি ভবন ধ্বংস হয়েছে যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এবং তাদের সঙ্গীদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। এই ট্র্যাজেডির মধ্যে আমার চিন্তাভাবনা ক্ষতিগ্রস্তদের, আহতদের এবং তাদের প্রিয়জনদের জন্য।’