আইসিসির টেস্ট ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে দুঃসংবাদ পেলেন লিটন দাস। অবশ্য দুই ধাপ অবনমন হলেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এখনো সেরা অবস্থানে রয়েছেন। ১৩তম স্থান থেকে ১৫তম স্থানে নেমে গেছেন লিটন। এছাড়া তামিমের তিনধাপ (৪২) ও মুমিনুলেরও একধাপ অবনমন হয়েছে (৬১)।
ক্রিকেটকে যদি রং তুলির আর্ট স্কুলের সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে সেই স্কুলের হেডমাস্টার বলা যেতে পারে লিটন দাসকে। তার দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভ, পুল কিংবা কাট শর্ট উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারোরই নেই। লিটন নিজেকে প্রমাণ করেছেন অসংখ্যবার। বাইশগজ মাতিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক ছিলেন না লিটন। ঘরের মাটিতে সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২৩ রান।
আজ (বুধবার) আইসিসির সাপ্তাহিক হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। লিটনের অবনমন হলেও উন্নতি হয়েছে মুশফিকুর রহিমের।
অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষ টেস্টে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেই টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে আইরিশদের শাসন করেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন অর্ধ-শতক। তার এমন পারফরম্যান্সের ছাপ দেখা গেল আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও। মুশফিক টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ৫ ধাপ। ৬৭৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্যাটারদের তালিকায় তারকা এই ব্যাটার অবস্থান করছেন এখন ১৭ নম্বরে।
এদিকে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে সাকিব আল হাসান রয়েছেন ২৬ নম্বরে। তার পয়েন্ট ৫৮৩। এছাড়া সাদা পোশাকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্পিনার তাইজুল ইসলাম এগিয়েছেন কয়েক ধাপ। আইরিশদের বিপক্ষে রীতিমতো বল হাতে আগুন তুলেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫৮ রানে ৫ উইকেট এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৯০ রানে ৪টি। এমন পারফর্ম করে তিন ধাপ এগিয়ে তাইজুলের অবস্থান ২০ নম্বরে। তার পয়েন্ট ৬৩০। বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে টেস্ট র্যাংকিংয়ে তিনিই সবার ওপরে।
এছাড়া বড় লাফ দিয়েছেন এবাদত হোসেন। ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে এই পেসার এগিয়েছেন ১৫ ধাপ, আছেন ৬৭তম স্থানে। দুই ধাপ এগিয়ে ৯০ নম্বরে শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের আগের দুই অবস্থানে যথাক্রমে খালেদ আহমেদ (৮৮, তিন ধাপ পিছিয়ে) ও তাসকিন আহমেদ (৮৯, দুই ধাপ পিছিয়ে)
