ছাতক প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে সংঘবদ্ধ ভাবে এক গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগ উটেছে সুধু তাই নয় প্রতিবাদ করায় বাড়ীতে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে ৯ জনকে।
এঘটনার প্রতিবাদ করায় গৃহবধুর স্বামী সন্তান সহ স্বজনদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। গত রোববার (২০ আগষ্ট) সকালে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার ২২ আগষ্ট ভুক্তভোগির স্বামী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় গণধর্ষন সহ মারপিটের মামলা নং ১৭ দায়ের করেছেন।
তবে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কোনো আসামি। মামলার বাদীর দাবী আসামিরা প্রকাশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং তাদেরকে দিচ্ছে হুমকী। গণধর্ষন সহ মারপিটের মত অপরাধ করেও আসামিরা প্রকাশ্য ঘোরে বেড়ানোর কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভোক্তভোগিরা।
মামলা ও ভিকটিম সুত্রে জানা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের এক টিউবওয়েল মিস্ত্রির ৩৮ বছর বয়সি স্ত্রী ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত। ডাক্তারের ফরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রতিদিন সকালে হাটতে বের হলে তাকে বেশ কিছুদিন যাবত প্রতিবেশী কয়েকজন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গত রোববার (২০ আগস্ট) সকালে হাঁটাহাঁটি করার জন্য বাড়ির সামনের রাস্তায় বেরুলে তার প্রতিবেশী মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র এমাদ উদ্দিন সহ আরও চার সহযোগী পথরোধ করে তোলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। পরে তার স্বামী তাকে খোঁজাখুঁজি করে জঙ্গল থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন। এরপর ভিকটিমের স্বামী ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ধর্ষণকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসত ঘরে ঢুকে ভিকটিমের স্বামী-সন্তানদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় ভিকটিমসহ তার ছেলে মেয়েরা আহত আহত হয়। এবং তার যুবতী মেয়েদের শ্লীলতাহানি ঘটায়। এছাড়াও হামলায় আরও কয়েকজন বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছেন। তাদেরকেও সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজে ভর্তী করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পরে ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন।
উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের তালুকজগত গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র এমাদ উদ্দিন ও এখলাছ উদ্দিন, মৃত আমিন উদ্দিনের পুত্র ইসলাম উদ্দিন,মহিম উদ্দিন ও আনছার উদ্দিন (২৫),শামছুল হকের পুত্র রেজাউল হক, গিয়াস উদ্দিনের পুত্র রায়হান আহমদ, সমুজ মিয়ার পুত্র শাহিন আহমদ, মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র সামছুল হক,, মৃত ওয়াজিদ উল্লার পুত্র ফয়জুল হক, মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র গোলাম রব্বানী,একই উপজেলার বশিরপুর গ্রামের ছমির আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান, আবু সাঈদ, আব্দুল আহাদের পুত্র আব্দুল করিম(২০)
মালমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, মামলার ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।