নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্ৰামের ছোরাফ মোল্যা(৭০) ও তার অসুস্থ স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬০) প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী মৃত্যু কার্তিক রঞ্জন রায়ের ছেলে, চিত্ত রঞ্চন রায়, এবং কাজলী রায় ও মৃত্যু কার্তিক রঞ্জন রায়ের স্ত্রী নীলা রায় মিলে
ছোরাফ মোল্লা ও আলেয়া বেগম কে নারিকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মেরে গুরুতর আহত করে।
আহত ছোরাফ মোল্লা ও আলেয়া বেগম কে তার স্বজনরা দ্রুত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এনে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
ছোরাফ মোল্লা বলেন, আমি ৮ বছর পূর্বে আকুল চন্দ্র রায় এর নিকট থেকে ১০২ শতক জমি দলিল মূলে ক্রয় করিয়া আমার সকল
ছেলে মেয়েদের নামে দলিল করে দিয়েছি। এবং সেই থেকে উক্ত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করিয়া আসছি। প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র মুলক উক্ত জমি জোর পূর্বক অন্যায় ভাবে ভোগদখল করিবার জন্য বিভিন্ন
ধরনের অপচেষ্টা ও পাইতারা চালিয়ে আসছে। উক্ত জমিতে তারা ১৪৪ ধারা জারী করেছিল। কিন্তু বিজ্ঞ অতিরিক্ত আদালাত আমাদের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। উক্ত রায় ঘোষনা করার পর হতে
তারা আমাদের জমি অন্যায় ভাবে দখল করার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করিয়া আসছে।
সর্বশেষ ৩ জুলাই বেলা ৮.৩০ ঘটিকার সময় শত্রুতার জের ধরিয়া লাঠিসোঠা লইয়া পূর্ব পরিকল্পনা ও অভিন্ন উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়ীতে
আসিয়া আমাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে আমার বাড়ীতে আমি ও
আমার অসুস্থ্য স্ত্রী কে গালিগালাজ করিতে থাকে গালিগালাজ না করার কথা বললে তারা সকলে মিলে এসে এলোপাকাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া
গুরুতর জখম করিয়া,আমার ঘরে প্রবেশ করে
আমার প্যারালাইজ স্ত্রী আলেয়া বেগমের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের সোনার চেইন ও একজোড়া ৮ আনা ওজনের সোনার কানের দুল এবং ঘরে থাকা নগদ ৪৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এবং জীবন নাশের হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। আশে পাশের লোকজন এসে আমাকে ও আমার স্ত্রী কে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।
ছোরাফ মোল্লা বলেন, আমার ছেলে কে দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি তদন্ত সাপেক্ষে এর সঠিক বিচার চাই।