নিজস্ব প্রতিবেদক::
কারও স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কেউবা আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে; কারও ইচ্ছে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসক হওয়ার; কেউবা স্বপ্ন দেখছেন প্রকৌশলী হতে। কিন্তু দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন হাতে গুনা কয়েক জনের। অজ্ঞতা কিংবা সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার আগ্রহ কম শিক্ষার্থীদের। তবে বিএসবি ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পাল্টে দিয়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মানসিকতা ও চিন্তধারা। এখন অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরে গিয়ে আরও দক্ষতা অর্জন করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে।
বিগত বছরগুলোর মতো এবারও দেশব্যাপী এসএসসি কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিএসবি ফাউন্ডেশন।
শনিবার (৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নগরীর বড়পুলস্থ সিটি হল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। চট্টগ্রামের প্রায় ৮ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এই সংবর্ধনার জন্য রেজিস্ট্রেশন করলেও সেখান থেকে ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরু থেকে বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ এর চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার শিক্ষার্থী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক তথ্যবহুল আলোচনা করেন। সেই সাথে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পুরো আয়োজন যেমন ছিলো উৎসবমুখর তেমনি শিক্ষামূলক। আয়োজনের মাঝে মাঝে ছিলো বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন। দেশের শিক্ষাব্যাবস্থা, উচ্চশিক্ষা, বাহিরের দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন।
বিএসবি ফাউন্ডেশনের এমন আয়োজন যেমন শিক্ষার্থীদের উৎফুল্ল করেছে তেমনি তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন করে ভাবার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আর তাইতো দেশে পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের বাইরে গিয়েও উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অনেক শিক্ষার্থী।
নাসরিন সুলতানা নামে সদ্য এসএসসি পাশ এক শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠানে আসার আগে ভেবেছিলাম হয়তো ফুল,ক্রেস্ট বা সনদই শুধু পাবো। কিন্তু অনুষ্ঠানে এসে অনেক উপকার হলো। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া এখন অনেক সহজ মনে হচ্ছে। আমার মাও এসেছেন সাথে।
বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার বলেন, প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করছেন। এর পরে তারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিংবা মেডিকেলে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে পড়তে পারেন না। যদি সুযোগ না পায় তাহলে শিক্ষার্থীরা কি থেমে থাকবে? না, শিক্ষার্থীরা চাইলে অতি অল্প খরচে মালেশিয়া, চায়না, রাশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারেন।
বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কাউকে আর চাকরি খুঁজতে হবে না, বরং চাকরিই তাকে খুঁজে নিবে। সেই সাথে চট্টগ্রাম ক্যামব্রিয়ান কলেজের পড়াশোনার বিভিন্ন দিক ও সাফল্য তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের পাঁচটি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৩টি ক্যাম্পাসে ক্যামব্রিয়ান কলেজের পাঠদান অব্যাহত আছে। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে ক্যামব্রিয়ারে পথ চলা শুরু। রাজধানী ঢাকার মতো চট্টগ্রামের হালিশহরেও রয়েছে ক্যামব্রিয়ানের ডিজিটাল ক্যাম্পাস। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম ক্যামব্রিয়ান কলেজ ফলাফলের দিক থেকে এই বোর্ডের অন্যতম শীর্ষ কলেজ।
২০২২ সালে এইচএসসিতে চট্টগ্রাম ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন ২১৯ জন। শতভাগ পাশের পাশাপাশি এ+ পেয়েছেন ১৪৭ জন। বাকি সব শিক্ষার্থী জিপিএ ৪ এর উপরে ফলাফল করেছেন।