ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১৮ জুন) যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী, আজ ছিল মনোনয়ন বাছাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। সবশেষে ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে রাজধানীর এই আসনে।সেই ভোটে যিনি জয়ী হবেন, তিনি কয়েক মাসের জন্যই কেবল সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এখানে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে।
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসানের কাছে জামানত হারান বগুড়া-৬ আসনে।
তার আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন হিরো আলম। যাচাই-বাছাইয়ের দুই দফায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। ভোটের দিন দুপুরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন হিরো আলম। পরে ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মোশারফ হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।