কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্যুতি ছড়িয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথম ফুটবলার হিসেবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিক। কিন্তু ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। নাটকীয় ফাইনালে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফ্রান্স। তবুও ফরাসিদের বর্তমান অধিনায়ক নিজের কাজটা করেছেন যথাযথ।
অন্যদিকে সেই ফাইনালে মেসি করেছেন জোড়া গোল। আরেকটি গোলের বলটা বানিয়ে দেওয়া তারই। টাইব্রেকারেও গোল করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের শিরোপা তুলে ধরেছেন তিনিই। পুরো টুর্নামেন্টে নিজে যেমন গোল করেছেন, তেমনি অন্যেদের দিয়ে করিয়েছেনও।
আর তাই ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে এগিয়ে আছেন এই দুজন। দিন কয়েক আগে লিওনেল মেসি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই পুরস্কার নিয়ে তিনি কিছু ভাবছেন না। ৭ বার যে ট্রফিটা তিনি ছুঁয়ে দেখেছেন, তার প্রতি কি আর কোনো মোহ থাকে! আর বিশ্বকাপের মতো ট্রফিটায় যার চুমু আঁকা আছে, তার আর অন্যকিছুর প্রতি আগ্রহ কমে আসাই স্বাভাবিক।
যদিও মেসির আগে বিশ্বকাপ ছুঁয়েছেন এমবাপ্পে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে ফ্রান্স সেই দলের সদস্য ছিলেন তিনি। তারপর ক্লাব ফুটবল থেকে শুরু করে সর্বত্রই রেখেছেন নিজের শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ। তবে জিততে পারেননি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। তার পারফরম্যানস মন ভরাতে পারেনি ব্যালন ডি’অরের বিচারকদের। আর তাই একবারও তার জেতা হয়নি ব্যালন ডি’অর।
তবে এবার এই পুরস্কারটা তার প্রাপ্য বলে নিজেই দাবি করেছেন। ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা দেখেন কি না, এমবাপ্পেকে এমন প্রশ্ন করেছিল সংবাদমাধ্যম টিএফ১। উত্তরে ফরাসি স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘ব্যালন ডি’অর? ব্যক্তিগত ট্রফি নিয়ে কথা বলাটা সব সময়ই কঠিন। কারণ, আপনাকে এখানে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাধারণ মানুষের (ভোটাভুটির) এ বিষয়গুলোয় ঠিকঠাক প্রতিফলন পাওয়া যায় না।’
এমবাপ্পে এরপর বলেন, ‘ব্যালন ডি’অর আমার প্রাপ্য কি না? নতুন নিয়মে কী বিবেচনা করা হয়? নজরকাড়া, গোল করা আর খেলায় প্রভাব ফেলা? আমি মনে করি, এসব ক্ষেত্রগুলো আমার সঙ্গে যায়। আমি বলতেই পারি, হ্যাঁ (ব্যালন ডি’অর আমার প্রাপ্য)। কিন্তু এটা যেসব মানুষ ভোট দেয়, তাদের ব্যাপার। আমি সব সময়ই আশাবাদী।’