১৯৮৬’র চ্যাম্পিয়ন, ১৯৯০’র রানার্সআপ আর্জেন্টিনাকে ১৯৯৪’র বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছিল প্লে-অফ জিতে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল ‘এ’ গ্রুপে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হলে ওশিয়ানা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্লে-অফ খেলতে হয়।
সিডনিত প্রথম পর্বে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি ম্যারাডোনারা, ড্র হয় ম্যাচ। বুয়েন্স আয়ার্সে দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স টোবিনের আত্মঘাতী গোলে জিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের টিকেট কাটে আর্জেন্টিনা। সেটা ছিল সকারুজদের সাথে চতুর্থ ম্যাচ তাদের।
এরপর প্রীতি ম্যাচে দুবার, কনফেডারেশন্স কাপে একবার দেখা হয়েছিল দুই মহাদেশের দুই দেশের। সর্বশেষ দেখা কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে। গত ৩ ডিসেম্বর আল রাইয়ানের নকআউট ম্যাচে ৩৫ মিনিটে লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ৫৭ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের গোলের কুড়ি মিনিট পর এনজো ফার্নান্দেজের আত্মঘাতী গোল অস্ট্রেলিয়াকে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচটা জেতে আর্জেন্টিনা এবং শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপ জেতে লিওনেল মেসির দল।
সেই ম্যাচের ছয় মাস পর বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে আগামী ১৫ জুন এক প্রীতি ম্যাচে আবার দেখা হচ্ছে আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়ার। ৪ দিন পর এশিয়া সফরে জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ খেলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। পূর্ব এশিয়ার দেশটির সঙ্গে এই প্রথম মুখোমুখি হবে মেসিরা।