আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বাইরের শক্তির পরামর্শে নয়।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারও ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের নজর সংবিধানের দিকে, দেশের জনগণের দিকে।
ভারতকে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আজ বিশ্বে যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সংকট প্রকট। এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো কথা হবে কিনা, এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বোঝানোর জন্য আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি। আজ বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ভিসানীতি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কিছু করণীয় আছে কিনা, সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছু কিছু দেশ আছে, যাদের নিজেদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি গণতন্ত্র শেখাবে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কোনো কোনো মহল আছে, যারা আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মনে করে। এটা হচ্ছে বিএনপিসহ কিছু দলের মনোবাসনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুঃসময়ে, দুঃখ-কষ্টে ও দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এসময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নিজেদের কখনও সংখ্যালঘু মনে করা আপনাদের উচিত না। অন্যান্য ধর্মের মতো আপনারাও দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক।
আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, বাংলাদেশে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। পরে এক বর্ণাঢ্য রথযাত্রা বের হয়।