ডেস্ক নিউজ ঃ
বুধবার সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে শ্রাবণের দাবদাহ যেমন কমেছে তেমনি পথচলতি মানুষের জন্য তৈরি হয়েছে ভোগান্তি।
এদিকে বৃহস্পতিবারও একইরকম আবহাওয়া থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি বাংলাদেশের খুলনা ও আশপাশের এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল। পরে এটি আরও দুর্বল হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ভারতের দিকে চলে গেছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভাগে উঠার কারণে দেশের উপকূলীয়সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে।
ঢাকায় বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস ও কর্মস্থলমুখী মানুষ। অনেককে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে। অনেকে আবার বৃষ্টির সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন বিভিন্ন ছাউনির নিচে।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বগুড়ায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ১০৭ মিলিমিটার।