আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে পর্যটকবাহী একটি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে সেই ডুবোজাহাজের খোঁজে।
তবে সেই সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজে কতজন পর্যটক ছিলেন আর কারা ছিলেন? বিবিসি নিউজ ও সিএনএনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
এই ট্যুরের আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান ওশেনগেটের তথ্যমতে, মধ্য আটলান্টিক মহাসাগরের তিন হাজার ৮০০ মিটার বা সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে আটলান্টিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটদিনের এই ভ্রমণের জন্য আড়াই লাখ ডলার খরচ করতে হয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আড়াই কোটি টাকারও বেশি।
বার্তাসংস্থা সিএনএন জানায়, ‘টাইটান সাবমার্সিবল’নামক হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজটি অনেকটা ট্রাক আকৃতির। এই সাবমেরিনে পাঁচজন পর্যটক ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানী ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান।
মঙ্গলবার এক বার্তার মাধ্যমে তাদের পরিবার নিশ্চিত করে যে নিখোঁজ ডুবোজাহাজে থাকা পাঁচজনের মধ্যে তারা দুজন।
দাউদ হলেন পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম সংস্থা এনগ্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার এসইটিআই ইনস্টিটিউটের একজন ট্রাস্টিও। তার ওয়েবসাইটে দেখা যায় তিনি দাউদ হারকিউলিস কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান। স্ত্রী এবং দুই সন্তানসহ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন এই পাকিস্তানি ধনকুবের।
এদিকে বিবিসি জানায়, নিখোঁজ ওই ডুবোজাহাজের আরেক পর্যটক ছিলেন ব্রিটেনের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং। যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‘অ্যাকশন এভিয়েশনে’র চেয়ারম্যান তিনি। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার নেশা ছিল তাঁর।
সপ্তাহের ছুটিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে টাইটানিক দর্শনের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। এ বছর প্রথম তিনিই টাইটানিক দর্শনে যাচ্ছেন বলেও জানান। ডুবোজাহাজের সঙ্গে নিখোঁজ তিনিও।
রোববার সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানির নিচে যাওয়ার সময় ডুবোজাহাজটিতে সাধারণত চারদিন চলার মতো জরুরি অক্সিজেন থাকে।
নিখোঁজ পর্যটকদের খোঁজে সাধ্যের মধ্যে সবকিছুই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ড। বিমান দিয়ে সাগরের ওপরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আবার সেই সঙ্গে সনার যন্ত্র ব্যবহার করে পানির নিচেও তল্লাশি করা হচ্ছে।